পঞ্চাশের দশকে ঐতিহাসিক আমনুরা জংশন।
.
১৯০৯ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে গোদাগাড়ী ঘাট – আমনুরা – রহনপুর – সিঙ্গাবাদ – মালদা মিটার গেজ সেকশন চালু করে কাটিহার ব্রাঞ্চ রেলওয়ে আন্ডারে । শিয়ালদা থেকে পদ্মার দক্ষিণ পাড়ের লালগোলা ঘাট ব্রডগেজ ট্রেনে এসে রেল ফেরি কর ঘাট পার হয়ে, পদ্মার উত্তর পাড়ে গোদাগাড়ী ঘাটে অপেক্ষমাণ মিটার গেজ ট্রেনে চড়ে মালদা, কাটিহার, শিলিগুরি তথা উত্তরবঙ্গ যেত এই পথের যাত্রীরা ।
.
সারাঘাট-সিরাজগঞ্জ লাইন নির্মিত হয়েছিলো ১৯১৬ সালে। এটি নির্মান করেছিলো সারা- সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে কোম্পানি। ১৯৩০ সালে,আব্দুলপুর-আমনুরা ব্রডগেজ লাইনটি সারাঘাট-সিরাজগঞ্জ লাইনের একটি শাখা হিসাবে খোলা হয়েছিলো । সেসময় আব্দুলপুর-আমনুরা শাখা লাইনের সর্বশেষ স্টেশন ছিলো আমনুরা রেলওয়ে জংশন।
.
১৯৪৭ সালের পর দেশভাগ হলে গোদাগাড়ী ঘাট – আমনুরা – রহনপুর মিটার গেজ সেকশন বিছিন্ন ছোট মিটার গেজ সেকশনে পরিণত হয়েছিলো। । ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে তখন জরুরি ভিত্তিতে আমনুরা – রহনপুর পর্যন্ত মিটার গেজ সেকশন ব্রড গেজে রুপান্তরিত করেছিলো। গোদাগাড়ী ঘাট থেকে আমনুরা জংশন পর্যন্ত মিটার গেজ সেকশন যাত্রী পারপার না হওয়ার কারণে একসময় অলাভজনক হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে এই ২৩.৩৩ কিমি মিটার গেজ সেকশন তুলে ফেলেছিলো। ৬০ দশকের শেষের দিকে ভারত সিঙ্গাবাদ পর্যন্ত তাদের মিটার গেজ সেকশন ব্রড গেজে রুপান্তরিত করে ফেলে। আর আশির দশকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রহনপুর স্টেশন থেকে বর্ডার হয়ে সিঙ্গাবাদের সাথে যোগাযোগের জন্য চালু করেছিলো।
.
বর্তমানে অবশ্য এই করিডর দিয়ে ফ্রেইট ট্রেন চলাচল করে থাকে ।