বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এর রয়েছে বহু গৌরবময় ও সংগ্রামী ইতিহাস। এই বাংলায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শাসন আমল পরিচালিত হয়েছে। ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হয়ে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হয়—একটি পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) এবং অপরটি পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান)। একই সময়ে ভারত নামে আরেকটি রাষ্ট্রও গঠিত হয়।
এই দেশ ভাগ হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে। তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিরাজমান মতভেদ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতেই রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরপর, ১৯৫২ সালে বাঙালিরা নিজেদের মাতৃভাষা বাংলার স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলনে নামে, যা ইতিহাসে “ভাষা আন্দোলন” নামে পরিচিত। এই আন্দোলনই পরবর্তীতে বাঙালি জাতিসত্তার ভিত্তি গড়ে দেয়।
বাংলাদেশের ইতিহাস অত্যন্ত ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই স্থানে কিছু মৌলিক তথ্য উল্লেখ করা হলো:
- প্রাগৈতিহাসিক পর্ব: বাংলাদেশের প্রাগৈতিহাসিক সময়ে এখানে প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রতীক উদ্ভব হয়েছিল। বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থলে প্রাচীন যুগের খনিজ উদ্ভিদ, প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহাসিক আখ্যানগুলি প্রমাণিত হয়েছে।
- মধ্যযুগ: বাংলাদেশের মধ্যযুগে এটি পাল বংশ, সেন বংশ, পাষাণ বংশ ইত্যাদির শাসনাধীনতা ছিল। এই সময়ে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষামূলক এবং ধর্মীয় কেন্দ্র হয়েছিল।
- মুঘল ও ব্রিটিশ শাসন: ১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীতে বাংলাদেশের অধীনে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপরে ব্রিটিশ শাসনের আগমন হয়। ব্রিটিশ শাসনের আওতাধীনে বাংলাদেশ সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক চলার নতুন প্রসার পেয়ে।
- স্বাধীনতা আন্দোলন:
- বর্তমান: বর্তমানে বাংলাদেশ একটি সাংবিধিক প্রজাতন্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে রাষ্ট্রীয় উন্নতি, অর্থনীতি এবং সামাজিক উন্নতির দিকে প্রচুর অগ্রগতি হয়েছে। তবে, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংঘর্ষের মধ্যে সাময়িকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির উন্নতির মুখ্য মৌলিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজন: উপমহাদেশের বেদনার ইতিহাস
১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান বিভাজন (Partition of India) ছিল উপমহাদেশের ইতিহাসে এক গভীর পরিবর্তনের এবং বেদনাদায়ক অধ্যায়। প্রায় দুই শতাব্দীর ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর এই বিভাজনের মাধ্যমে জন্ম নেয় দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র—ভারত ও পাকিস্তান। তবে এই বিভাজন নিয়ে ছিল অসংখ্য রাজনৈতিক বিতর্ক, জাতিগত দাঙ্গা, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ও বাস্তুচ্যুতি।
ব্রিটিশ শাসনের পটভূমি
১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতবর্ষে শাসন শুরু করে। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর ১৮৫৮ সালে ব্রিটিশ সরকার সরাসরি ভারত শাসন শুরু করে।
পরবর্তী একশো বছরে ভারতীয় জনগণ জাতীয়তাবাদী চেতনায় জাগ্রত হয়ে উঠে। কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, ও অন্যান্য দলগুলি স্বাধীনতার দাবি জানাতে থাকে।
হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্ব ও দ্বি-জাতি তত্ত্ব
১৯৩০-এর দশকে মুসলিম লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ “দ্বি-জাতি তত্ত্ব” (Two-nation theory) উপস্থাপন করেন। তার মতে, হিন্দু ও মুসলিম দুইটি ভিন্ন জাতি এবং তাদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র প্রয়োজন।
অন্যদিকে, কংগ্রেস একটি একক ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের পক্ষে ছিল।
ভারত বিভাজনের সিদ্ধান্ত
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ সরকার দ্রুত ভারত ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
১৯৪7 সালের ৩ জুন ব্রিটিশ সরকার “মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা” ঘোষণা করে, যার আওতায় ভারতকে দুটি আলাদা রাষ্ট্রে ভাগ করা হয়:
- ভারত (হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ)
- পাকিস্তান (মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ)
পাকিস্তান আবার দুইটি অংশে বিভক্ত ছিল: - পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান)
- পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)
১৪ ও ১৫ আগস্ট ১৯৪৭: স্বাধীনতা
- ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ – পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে
- ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ – ভারত স্বাধীনতা লাভ করে
দুটি দেশই স্বাধীনতা উদযাপন করে, কিন্তু এর পেছনে ছিল ভয়াবহ মানবিক ট্র্যাজেডি।
বিভাজনের ভয়াবহতা ও মানবিক বিপর্যয়
ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের সময় প্রায় ১ কোটিরও বেশি মানুষ এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে স্থানান্তরিত হন।
- হিন্দু ও শিখরা ভারতে চলে আসেন
- মুসলিমরা পাকিস্তানে চলে যান
এই অভিবাসনের সময় ব্যাপক ধর্মীয় দাঙ্গা, গণহত্যা, ধর্ষণ ও সহিংসতা ঘটে।
বিশেষ করে পাঞ্জাব ও বাংলা অঞ্চলে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
- আনুমানিক ১০–২০ লক্ষ মানুষ নিহত হন
- লক্ষ লক্ষ নারী নির্যাতনের শিকার হন
- হাজার হাজার পরিবার ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভারত বিভাজন
ভারত বিভাজনের ফলে বাংলা ভাগ হয়ে যায়:
- পশ্চিমবঙ্গ (ভারতের অংশ)
- পূর্ববঙ্গ → হয় পূর্ব পাকিস্তান (পরবর্তীকালে বাংলাদেশ)
পূর্ব পাকিস্তানে ভাষা, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক অবহেলা থেকে জন্ম নেয় ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, এবং শেষ পর্যন্ত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ।
উপসংহার
১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান বিভাজন ছিল রাজনৈতিক সমাধানের একটি প্রচেষ্টা, যা দুঃখজনকভাবে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেয়। এই ইতিহাস আমাদের শেখায়, বিভাজন নয়, পারস্পরিক সহাবস্থান ও সম্মানের ভিত্তিতেই টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনঃ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন দ্বারা সূচিত হয়।
ভাষা আন্দোলনঃ
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ইতিহাস
১৯৭১ সাল দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ও নাটকীয় বছর। এ বছর পাকিস্তানের পূর্ব অংশ, পূর্ব পাকিস্তান, একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে—নতুন দেশের নাম হয় বাংলাদেশ। এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি শুধু দক্ষিণ এশিয়ার নয়, বরং বিশ্ব ইতিহাসেও এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়।
১৯৭১ সালের প্রেক্ষাপট
পাকিস্তানের দ্বি-অঞ্চলীয় সমস্যা
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের মাধ্যমে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয়—যার দুটি অংশ ছিল:
- পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)
- পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান)
দুই অংশের মধ্যে প্রায় ১২০০ মাইলেরও বেশি ভৌগোলিক দূরত্ব এবং সাংস্কৃতিক, ভাষাগত, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য ছিল ব্যাপক।
- ভাষাগত বৈষম্য: রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে প্রতিবাদ।
- অর্থনৈতিক বৈষম্য: পূর্ব পাকিস্তান থেকে আয় হলেও বাজেটের বড় অংশ যেত পশ্চিম পাকিস্তানে।
- রাজনৈতিক বৈষম্য: জনসংখ্যায় বেশি হলেও পূর্ব পাকিস্তান সবসময় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত ছিল।
১৯৭০ সালের নির্বাচন ও উত্তেজনা
১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে (পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব আসন এবং জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা)। কিন্তু তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকরা ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এরপর দেশজুড়ে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
২৫ মার্চ ১৯৭১: গণহত্যা ও যুদ্ধের সূচনা
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী “অপারেশন সার্চলাইট” নামক এক বর্বর অভিযান চালায়। ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়।
২৬ মার্চ ১৯৭১
শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তা প্রচারিত হয়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে চলে এক দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।
- প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ নিহত হন
- দুই লক্ষাধিক নারী ধর্ষণের শিকার হন
- এক কোটি মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নেয়
বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ জনগণ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালায়।
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয় দিবস
৯ মাসের যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি আত্মসমর্পণ করেন।
বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয়।
পাকিস্তানের পরিণতি
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ হারানোর ফলে পাকিস্তানে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়।
- প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পদত্যাগ করেন
- জুলফিকার আলী ভুট্টো নতুন রাষ্ট্রপ্রধান হন
- পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গ্রহণযোগ্যতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়
১৯৭১ সাল ছিল দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এক বেদনাবিধুর, কিন্তু ঐতিহাসিক বছর। বাংলাদেশের জন্য এটি ছিল মুক্তির বছর, পাকিস্তানের জন্য এটি ছিল বিভাজনের বছর। এই ইতিহাস আমাদের শেখায় যে অন্যায়, বৈষম্য ও দমন যতদিন চলবে, ততদিন সংগ্রামও চলবে। আর সেই সংগ্রাম একদিন মুক্তির পথ তৈরি করবেই।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ
বাংলাদেশ শুধু ১৯৭১ সালে ভৌগোলিক স্বাধীনতা অর্জন করেনি, বরং রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়েও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্ব পার করেছে। এসব আন্দোলন ও গণজাগরণ ছিল জনগণের অধিকার আদায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
১. স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন (১৯৮২–১৯৯০)
১৯৮২ সালে সেনাপ্রধান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সামরিক শাসন জারি করেন। দীর্ঘ নয় বছর ধরে তার শাসনকালে গণতন্ত্রহীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়ন চলতে থাকে। এই প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠে এক শক্তিশালী ছাত্র ও জনআন্দোলন। ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর তিন জোটের আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয় এবং ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এটি ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এক বিশাল বিজয়।
২. গণতন্ত্রের বর্তমান অবস্থা ও সমসাময়িক আন্দোলন
বাংলাদেশে ২০০৮ সালের পর থেকে নির্বাচনী পদ্ধতি ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে ২০২৪ সালে ছাত্র ও নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণে কয়েকটি বড় গণআন্দোলন সংগঠিত হয়। এই আন্দোলনগুলোতে জনগণ রাজনৈতিক স্বচ্ছতা, সুষ্ঠু নির্বাচন ও মৌলিক অধিকারের দাবি তোলে।
শেখ হাসিনা ২০২৪ সালে ৫ আগষ্ট ছাত্র আন্দোলন থেকে রুপ নেওয়া গন আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।
উপসংহার
বাংলাদেশের ইতিহাস শুধুমাত্র একটি ভূখণ্ডের ইতিহাস নয়; এটি একটি জাতির আত্মপরিচয়, সংগ্রাম ও বিজয়ের ইতিহাস। এই ইতিহাস আমাদের চেতনার মূলভিত্তি এবং ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রেরণা। নতুন প্রজন্মের উচিত এই ইতিহাস জানা, ধারণ করা এবং মূল্যায়ন করা।