স্টেশন পরিচিতিঃ আহসানগঞ্জ, নওগাঁ।
১৯২৭ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত আহ্সানগঞ্জ রেলস্টেশন। ব্রিটিশ শাসনকালে এই স্টেশনটি ‘আত্রাই ঘাট’ নামে নামকরণ করা হয়েছিল। পরে তা পরিবর্তন করে স্টেশন প্রতিষ্ঠাতা জমিদার মুন্সী আহ্সান উল্লাহ্ মোল্লার নামে রেখে আহ্সানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন নামকরণ করা হয়। পরে মুন্সী আহসানউল্লাহ মোল্লার পুত্র মোল্লা আবুল কালাম আজাদ এমপি স্টেশনটিকে পুনঃর্নির্মাণ করেন।
লাইনঃ চিলাহাটি-পার্বতীপুর-সান্তাহার-দর্শনা
প্ল্যাটফর্ম ১টি, রেলপথ ডুয়েলগেজ হলেও এখানে কোন মিটারগেজ ট্রেন থামেনা।
বর্তমান আহ্সানগঞ্জ রেলস্টেশন হয়ে ৩২টি ট্রেন চলাচল করে, এর মধ্যে ৮টি ট্রেনের স্টপেজ রয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে আহসানগঞ্জ রেলস্টশন থেকে আয় হয়েছে ২ কোটি ১৯ লাখ ১৪ হাজার ৭৬৬ টাকা। এই স্টেশনে বিপুল পরিমাণ আয় হওয়া সত্বেও স্টেশনের প্রবেশ পথ দোকানদারদের দখলে। প্লাটফর্মের অপেক্ষমাণ যাত্রীর পর্যাপ্ত বসার আসন নেই। আসন যা রয়েছে সেগুলো ফল, পান-সিগারেটের দোকানসহ বিভিন্ন দোকান দিয়ে দখল করে রাখা।
স্টেশনটি এখন মাছ বাজারে পরিনত হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রেলস্টেশন প্রবেশ পথে প্লাটফর্মে মাছ বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। এখন অনেকে আহ্সানগঞ্জ রেলস্টেশনকে মাছ বাজার স্টেশন নামেই জানে। এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে না বলে অভিযোগ জনসাধারণের।
আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে লোকাল উত্তরা, রকেট মেইল বাদেও যেসব আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রাবিরতি দেয় নিম্নে তা উল্লেখ করা হলঃ
ঢাকা-চিলাহাটিঃ নীলসাগর এক্সপ্রেস
ঢাকা-বিঃমুঃসিঃইঃ দ্রুতযান এক্সপ্রেস
রাজশাহী-চিলাহাটিঃ বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, তিতুমীর এক্সপ্রেস
রাজশাহী-বিঃমুঃসিঃইঃ বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস
খুলনা-চিলাহাটিঃ রূপসা এক্সপ্রেস।