আমার প্রথম ভারত ভ্রমনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করছই। গত পোষ্টে ভারত ভ্রমনের পথে কিছুটা লিখা দিয়েছি। এর আগে ২০১৮ সালে দুইবার ভিসার জন্য আবেদন করি । সেই সময় আমাকে ভিসা না দিলেও এইবার আমি ভিসা পেয়েছি । আমাকে এইবার টুরিস্ট ভিসা দেওয়া হয়েছে। মাত্র ৩ মাস মেয়াদী একটি ভিসা । বেনাপোল বাংলাদেশ পোর্ট দিয়ে ভারতের প্রবেশ করা যাবে। ভারতের ঐপাশে পেট্রাপোল স্থল বন্দর । যা ICP Haridaspur নামে পরিচিত । এই ভ্রমনে ছিলাম আমি একা।
আমার ভ্রমন যাত্রা শুরু হয়েছিল ২১/০৯/২০২২ খ্রিঃ রোজ বুধবার সকালে। আমি আগেই ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম যশোর বা যশোহর পর্যন্ত । রাজশাহী থেকে যশোর স্টেশন পর্যন্ত টিকিটের মূল্য ২৮০ টাকা পড়েছিল । ট্রেনের মধ্যে পরিচিত হই নওহাটার একজনের সাথে । যে তার দুই নানিকে নিয়ে ভারতে যাচ্ছিল। তারা যাবে লালগোলা । যদি মাহাদিপুর বা সোনা মসজিদ বর্ডার খোলা থাকতো তাহলে খুব তাড়াতাড়ি যাওয়া যেতো । ট্রেনের মধ্যে রাজশাহের আরেক জনের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম। আমাদের ট্রেন অনেক দেরি করে যায় । আমরা মোটামোটি দুপুর ১২ঃ৪৫ দিকে পৌছে যায়। তবে আমরা ৪ জন মিলে একটা কার ভাড়া করে চলে যায়। মোট ভাড়া লাগে ৮০০ টাকা । প্রতিজন ২০০ টাকা করে । তবে স্টেশন থেকে আপনি আটো গাড়িতে চাচড়া বাস স্ট্যান্ডে কিংবা যশোর বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে বেনাপোলের বাস ধরতে পারেন। এতে ভাড়া পড়বে ৩০ টাকা + ১০০ টাকা বাস ভাড়া মোট । থেকে এরপর মারুফ নামের বেনাপোলে পরিচিত একজন ছিল তার দোকানে গিয়ে তাদের টিকার কার্ড ও বাকি কাগজ পত্র ঠিকঠাক করতে লাগিয়ে দিলাম। এর মাঝে আমি পোর্ট ট্যাক্স এর কাজ নিয়ে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন শেষ করে ভারতের জিরো লাইনে চলে গেলাম । সেখানে অনেক ভীড় ছিল। ভারতের Zero Line পর্যন্ত ইন্টারনেট ও কল করার সুবিধা পাবেন। গ্রামীনফোন কিংবা রবি নেটওয়ার্ক আমি পেয়েছিলাম।
ভারতে যাওয়ার সময় যা যা কাগজপত্র নিয়ে যাবেনঃ
- পাসপোর্টের ফটোকপি
- করোনা টিকার সার্টিফিকেট
- ভিসার ফটোকপি
- চিকিৎসার কাগজপত্র ফটোকপি ও মেইন কপি
কলম অবশ্যই নিয়ে যাবে । কেননা ভারত অংশে ফর্ম পূরণের সময় লাগবে।
বাংলাদেশ অংশে কোন প্রকার ফর্ম পূরনের দরকার নাই । শুধু করোনা টিকার সার্টিফিকেট ও পাসপোর্ট থাকলেই হবে। তবে ভারতের অংশে আপনাকে দুইটা ফর্ম দিবে সেটা পূরণ করবেন । যেখানে যেতে বলবে সেখানে গিয়ে দাড়াবেন । না বুঝতে পারলে ঔখানকার কাউকে জিজ্ঞাসা করে নিবেন।